সরকার আগেই এই ভূমিকা নিলে এমন হতো না
সন্ত্রাসবাদী দমনে আরো সক্রিয় ভূমিকা যদি কেন্দ্র সরকার আগে থেকে নিতো তাহলে এদিনটা দেখতে হতো না।এমনটাই মনে করছে হাওড়ার এক শহীদ পরিবার। পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের জোরদার প্রত্যাঘাত। শুরু হয়েছে অপারেশন সিন্দুর। ভারতীয় সেনার লড়াই এবং সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানাচ্ছে হাওড়ার শহীদ পরিবার। তারা জানিয়েছেন যেভাবে ভারতীয় সেনা যোগ্য জবাব দিচ্ছে তাতে তারা খুশি। তবে পরিবারের আক্ষেপ একটাই পুলওয়ামা হত্যাকাণ্ডের একমাস আগে ঘরের ছেলেকে হারালেও সেই সময় নড়েচড়ে বসেনি কেন্দ্রীয় সরকার।উত্তর হাওড়ার ডবসন রোডের যুবক বিনয় প্রসাদ(৩৫) কে পাক মদতপুষ্ঠ জঙ্গিরা গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয়।তিনি আধা সেনাবাহিনী বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডেন্ট পদে ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৫ ই জানুয়ারি জম্মুর কাটুয়াতে ডিউটি করে যখন ছাউনিতে ফিরছিলেন সেই সময় অতর্কিতে আক্রমণ করে জঙ্গিরা। আহত অবস্থাতেও তিনি গুলির লড়াই চালিয়ে যান। সেই দিন রাতেই বাড়ির লোকের কাছে ফোন আসে বিনয় আর বেঁচে নেই। বাড়িতে স্ত্রী, মেয়ে, বাবা, মা এবং ভাইয়েরা ভেঙে পড়েন কান্নায়। তার মা শকুন্তলা দেবী আজও ছেলের স্মৃতি আঁকড়ে বেঁচে রয়েছেন। ছেলের কথা বলতে শুরু করলেই চোখে জল এসে যায়। তিনি বলেন, "টিভিতে দেখেছি কিভাবে পহেলগাঁওয়ে নিরীহ পর্যটকদের তাদের স্ত্রীর সামনে জঙ্গিরা নৃশংসভাবে খুন করেছে। ওদের উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া উচিত। যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকার অপারেশন সিন্দুরের মাধ্যমে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের ঘাঁটি গুলোকে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে তাতে আমি খুশি। আতঙ্কবাদ দেশ থেকে নির্মূল হওয়া দরকার।" ২০১৯ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হানায় নিহত হয় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান। যা গোটা দেশকে হতবাক করে দেয়। শহীদের দাদা রাকেশ প্রসাদের আক্ষেপ এই ঘটনার একমাস আগে জম্মুর কাটুয়া তে তার ভাইয়ের মৃত্যুর পর যদি কেন্দ্রীয় সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিত তাহলে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলা হতো না।এমনকি আজকের যুদ্ধ পরিস্থিতি হতো না।তিনি বলেন, তবে এবারে কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তাতে আমরা খুশি। আমরা চাই জঙ্গিদের নিকেশ করা হোক। আতঙ্কবাদ শেষ হোক।"বর্তমানে শহীদ বিনয় প্রসাদের স্ত্রী রাজ্য পুলিশে চাকরি করেন। একমাত্র মেয়ের বয়েস মাত্র ৮। মাঝে মাঝে তিনি মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। তবে মা প্রতিদিন ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে থাকেন। মনে মনে ভাবেন কবে জঙ্গি মুক্ত হবে দেশ। যাতে তাঁর মতো আর কোন মায়ের কোল খালি না হয়। কারণ সন্তান হারানোর যন্ত্রণা একমাত্র মায়েরাই বোঝেন।
:33
Likes