সিকিমে বিপর্যয়ের চার দিন কেটে গেলেও এখনো যোগাযোগ করা যায়নি হেত্যাগড়া গ্রামের দুই যুবকের সাথে। সিকিমের লাচুং এ হোটেলে কাজ করতেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া গ্রামের ভোলানাথ শিকারী ও কর্ণ অধিকারী। আটকে পড়া ওই দুই যুবকের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করছে না বাঁকুড়া পুলিশ ও প্রশাসন এই অভিযোগ তুলে এবার ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন নিখোঁজ দুই যুবকের পরিবার ও স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
সিকিমের লাচুং এ একটি হোটেলে কাজ করতেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর ব্লকের হেত্যাগড়া গ্রামের ভোলানাথ শিকারী ও কর্ণ অধিকারী নামের দুই যুবক। প্রায় প্রতিদিনই টেলিফোনে পরিবারের সাথে কথা হত তাঁদের। শনিবার দুই যুবকের সাথে শেষ কথা হয় তাঁদের পরিবারের। বিপর্যয়ের পর থেকে দুজনেরই ফোন সুইচ অফ থাকায় তাঁরা কী অবস্থায় আছেন তা নিয়ে উদ্বেগ ছড়ায় ওই দুই পরিবারে। এই অবস্থায় শিলিগুড়িতে থাকা হোটেল মালিকের সাথে যোগাযোগ করেন ওই দুই যুবকের পরিবার। কিন্তু হোটেল মালিকও গা ছাড়া দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে বারেবারে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের উপির কিছুটা ভরসা ছিল গ্রামের মানুষের। কিন্তু নিখোঁজদের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবী পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ভাবেই তাঁদের সহযোগিতা করছে না। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা বাধ্য হয়ে আজ দুপুরে রাস্তায় নেমে আসে হেত্যাগড়া গ্রামের মানুষ। গ্রামের কাছে থাকা রানীগঞ্জ খড়গপুর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় গ্রামবাসী ও আটকে পড়া দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত ওই দুই যুবকের সাথে পরিবারের যোগাযোগ করিয়ে না দিলে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার হুঁধিয়ারি দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।