ব্যারাকপুর :রাজ্য সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ডিজিটাল ইন্ডিয়ার যুগে প্রতিদিনই বিভিন্নভাবে প্রতারিত হচ্ছেন বহু সাধারণ মানুষ। বর্তমান সময়ে সাইবার প্রতারণা বা সাইবার অপরাধের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কেউ প্রতারিত হচ্ছেন ব্যঙ্কে কেউ আবার মোবাইল ফোন অথবা অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে।
এধরনের অপরাধমূলক কাজের দ্রুত সমস্যার সমাধানে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে কমিশনারেটের আওতায় সমস্ত থানায় চালু করা হল সাইবার বন্ধু। অনলাইনে প্রতারিত হলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সাইবার বন্ধু। শুক্রবার বিকেলে নিউ বারাকপুর থানায় চালু হল সাইবার বন্ধু।ফিতে কেটে সাইবার বন্ধু প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন ঘোলা এসিপি তনয় চ্যাটার্জি,নব বারাকপুর থানার ওসি সুমিত কুমার বৈদ্য সহ থানার এসআই সমীরণ দাস, অর্নব মিস্ত্রি, সৌমেন দাস সহ বিভিন্ন আধিকারিক রা।এসিপি তনয় চট্টোপাধ্যায় বলেন ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল আইপিএস অলোক রাজোরিয়ার নিজস্ব ধারনা নির্দেশে বিভিন্ন থানায় চালু হয়েছে পুলিশ বন্ধু। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশ সবার আগে এগিয়ে যাবে। প্রকল্পের সফলতার পরে ঘোলা থানার পর নিউ বারাকপুর থানায় চালু হল সাইবার বন্ধু পুলিশ কিয়স্ক পয়েন্ট ।দিন দিন বাড়ছে সাইবার ক্রাইম। সাইবার অপরাধ। কোন মানুষ প্রতারিত হল সরাসরি থানায় সাইবার বন্ধু প্রকল্পে গিয়ে যাবতীয় অভিযোগ কাগজপত্র জমা দেবেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমাধান চেষ্টা করা হবে। এছাড়াও সাইবার ক্রাইম অপরাধ নিয়ে চলছে মাইকিং সচেতনতা প্রচারভিযান।সাইবার বন্ধু কিয়স্ক টেবিলে থাকবেন একজন এটেন্টডেন্ট ও কম্পিউটার অপারেটর।
পাশাপাশি থানায় সর্বসাধারনের জন্য বিশুদ্ধ শীতল পানীয় জলের মেশিন ও উদ্ধোধন করা হয়। বিভিন্ন সময়ে চুরি খোওয়া হওয়া আটটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে অভিযুক্তদের ও প্রতারণার অভিযোগে দুই ব্যক্তির টাকা তুলে দেওয়া হয় এদিন।প্রতারিত তালবান্দা যুগবেড়িয়া নিবাসী আইটি কর্মী কার্তিক হালদার ফেরত পান ৩৮৭২২ এবং সুকান্তনগর নিবাসী ব্যবসায়ী সুবির কুমার চৌধুরী ফেরত পান ৭০ হাজার টাকা। অভিযোগকারীর নিজ নিজ মোবাইল ফেরত পেয়ে বেজায় খুশি। নববারাকপুর থানার পুলিশের কাজের প্রশংসা করেন।