শুভেন্দুর পাড়াতে নওসাদ। নন্দীগ্রামে রমরমা হচ্ছে ISF, ক্ষমতা কমতে পারে তৃনমুলের
পশ্চিমবঙ্গে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দখলের সিট হিসেবে পরিচিত নন্দীগ্রাম বিধানসভা। বর্তমানে সেখানে সবথেকে বেশি শক্তিশালী বিরোধি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির এই আসনে হেরে যাওয়ার ঘটনাকে আক্রমনের ক্ষেত্রে এখনো প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন শুভেন্দু। এখনো অনেকে মনে করেন, শুভেন্দুকে জোরালো টক্কর দেওয়ার পেছনে মমতার ভোটব্যাংকের প্রধান ডিফেন্স ছিল নন্দীগ্রামের প্রায় ৩0% মুসলিম ভোট৷ গত বিধানসভা ভোটে মমতা বন্দোপাধ্যায় হেরে যাওয়ার পর সেই ক্ষমতা ক্রমশই কমতে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের রেজাল্ট যার জলজ্যান্ত উদাহরন। রাজনীতিবিদরা মনে করছেন নন্দীগ্রামে তৃনমুলের ভোট কমে যাওয়ায় প্রধান কারন আইএসএফ। কারন সে সময় নন্দীগ্রামে প্রথমবার প্রার্থী দিয়েছিল আইএসএফ। ধর্মনিরপেক্ষ এই দলে অধিকাংশ সমর্থ্যক মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। এই সুযোগ কাজে লাগাতে সেখানে প্রথমবার থাবা মেরেছিল আইএসএফ। নিজেদের জায়গা শক্ত করতে বেশ কিছু জায়গায় প্রথমবার প্রার্থীও দিয়েছিল তারা। যার মধ্যে অধিকাংশ সমর্থক তৃণমূলের বলেই দাবি। । কয়েক মাস পর নন্দীগ্রামে আইএসএফ এর সেই ছবি কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে নন্দীগ্রাম বাস স্ট্যান্ডে নওশাদের জনসভা ঘিরে ছিল সমর্থকদের চরম উত্তেজনা। নন্দীগ্রামে পৌঁছতেই নওশাদ কে ঘিরে শুরু জেরাল কণ্ঠে ভাইজান জিন্দাবাদ স্লোগান। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই ভাইজান স্লোগানই ভবিষ্যতে চরম অস্বস্তিতে ফেলতে পারে তৃনমুল সহ বিজেপিকেও ।নন্দীগ্রামে আই এস এফ এর ক্রমশ অগ্রগতিতে আরো কমতে পারে তৃনমুলের ভোট ব্যাঙ্ক। কারন নওশাদের সভায় অধিকাংশরাই ছিলেন সেখানকার মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। নওশাদের সভায় এতটা জনস্রোত এবং এই জনস্রোত তৃণমূলের স্থায়ী ভোট কতটা কমাতে পারে ?? এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতা কর্মীরা। নন্দীগ্রামে ক্ষমতা বজায় রাখতে সক্ষম বিজেপি নেতৃত্বরাও গুরুত্ব দিতে চাইছেন না ISF কে ।তবে নন্দীগ্রামের মত জায়গায় ক্রমবর্ধমান নওশাদের জনস্রোত, কিছুটা হলেও ভবিষ্যতে চিন্তার ভাঁজ হতে পারে তৃণমূল বিজেপি দুই স্তরেই । আইএসএফ যে এই দুই দলের প্রধান বিরোধী তা মঞ্চ থেকেই স্পষ্ট করেন নওশাদ সিদ্দিকী। কারন তার এদিনের প্রধান আক্রমণের বিষয়বস্তু ছিল শুভেন্দু ও মমতা, বিধানসভার ভেতরে দুজনের চা খাওয়ার গোপন প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল বিজেপিকে একই সূত্রে প্রকাশ্যে আনতে চেয়েছেন নওসাদ। পরবর্তীতে তৃনমুল বিজেপি এই দুটি প্রধান দল নন্দীগ্রামের মতো জায়গায় নওশাদ ও আই এস এফকে কিভাবে টেক্কা দেবে তা সময়ের অপেক্ষা। তবে নন্দীগ্রামের মতো জায়গায় নওশাদের সমর্থকদের ভিড় বলছে নন্দীগ্রামে কমশ হয়ে জায়গা তৈরি করছে আইএস এফ।