সুন্দরবন সফর এসে গৃহবধুর কাছে কচু ওল টেংরা মাছ চেয়ে খেয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী তিনি লক্ষী ভান্ডার থেকে বঞ্চিত
মুখ্যমন্ত্রী আসার পর রেশন কার্ড স্বাস্থ্য সাথী আবাস যোজনা ঘর পেয়েছি লক্ষী ভান্ডার থেকে বঞ্চিত
উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার ২০২২ সালে ২৯ শে নভেম্বর সুন্দরবন সফরে এসেছিলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে পর্যটন শিল্পকে ঢালাও সাজার কথা বলে সফর শুরু করেছিলেন তার কাজ শুরু হয়েছে। তারপর তিনি টাকি ইছামতি নদীতে লঞ্চে ভ্রমন করতে গিয়ে হাসনাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের খা পুকুরে গৃহবধূ নমিতা মন্ডলের বাড়িতে কচু ওল ওর টেংরা মাছ চেয়ে খেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। অসহায় ওই গৃহবধূর কিছুই ছিল না তারপর সরকারি প্রকল্পের রেশন কার্ড স্বাস্থ্য সাথী কার্ড বাংলা আবাস যোজনার ঘর একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পেলেও লক্ষীর ভান্ডার থেকে বঞ্চিত রয়েছেন তিনি। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও বছর ৪৫ নমিতা মন্ডল আজ ও লক্ষ্মীর ভান্ডার পাইনি। গত এক বছরে তিনবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পে গিয়ে উপযুক্ত নদীপত্র দিল আজও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রয়েছে এই গৃহবধূ। এই নিয়ে একরাশ অভিমান জমিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন। ভোট আসে ভোট যায়, এবার পঞ্চায়েত ভোট দলের পরিবর্তন হয়েছে হাসনাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করেছে। তার প্রধান রিংকু পাত্র, তার কাছে জানালে তিনি জানান আমি সবে প্রধান হয়েছি বিষয়টা হাসনাবাদ বিডিও অলিম্পিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টা জানাবো। ইতিমধ্যে প্রশ্ন হচ্ছে সরকারি ৩৬,টা প্রকল্পের সুবিধা যেখানে প্রান্তিক মানুষেরা পাচ্ছে যেন ওই গৃহবধূ লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বঞ্চিত তাহলে কি সরকারি নথিপত্রের অভাব না এর মধ্যে অন্য কোন রাজনৈতিক কারণ আছে সেটাও নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আমিরুল ইসলাম গাজী বলেন সরকারি কোনো ত্রুটি আছে কিনা আমরা দেখছি সবাই পাচ্ছেন উনি কেন পাচ্ছেন না। বারবার গাফিলতি প্রশ্ন উঠছে হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির উপরে কেনই উপযুক্ত নথিপত্র থাকা সত্ত্বেও ওই গৃহবধূ লক্ষ্মী ভান্ডার পাচ্ছেন না