বহরমপুর- ইন্ডিয়া জোট একসঙ্গে হলেও বিজেপিকে হারাতে পারবে না বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ।শনিবার সকালে চায়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে দিলীপ বাবু বহরমপুরের বিজেপি নেতৃত্বর সঙ্গে মিলিত হন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সিপিএম কংগ্রেসের মধ্যে মিল নাই, নিজেদের ঠিক নেই একসঙ্গে থাকবে কিনা, বিজেপি বলছে তিন পার্টি এক হয়ে যাক ।সারা ভারতবর্ষে বিরোধীরা এক জোট হোক ,মানুষ ঠিক করবে ভোট কাকে দেবে, দাবি দিলীপ ঘোষের। অন্যদিকে দিলীপবাবু বলেন, রাজ্যে প্রচুর মানুষ খুন হচ্ছে। তাদের চাকরি কে দেবে! হিংসা এবং দুর্নীতি বন্ধ করলেই খুন বন্ধ হবে, চাকরির প্রয়োজন হবে না। দুর্নীতি প্রসঙ্গে দিলীপ বাবু বলেন ,পশ্চিমবঙ্গে এত দুর্নীতি যা দেশের কোথাও হয়নি ।কেন্দ্র থেকে আবাস যোজনা টাকা আসছে ,কাট মানি নিয়ে নিচ্ছে রাজ্যের তৃনমুল। প্রধানমন্ত্রীর বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রী বেশিরভাগ বিজ্ঞাপন এবং পার্টির ফান্ডের জন্য খরচ করছে ।বিভিন্ন জোজনার টাকা আসছে অথচ মানুষ পাচ্ছে না রাজ্যে। ১০-১২ বছর ধরে চাকরি নাই রাজ্যে ,প্রধানমন্ত্রী টাকা দিচ্ছে বলে রাজ্যে সংসার চলছে। মহারাষ্ট্র মাল তৈরি হচ্ছে আর পশ্চিমবঙ্গে বিক্রি হচ্ছে ,সেই জিএসটি পাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল সরকার। চোর ডাকাতে ভরে গেছে তৃণমূল। পার্টি টাই পচে গেছে। দুই একটি লোক এসে আর কি করবে! কেজরীলাল চিঠি পেয়েছে ,এ রাজ্য মুখ্যমন্ত্রী চিঠি পেতে চলেছেন বলে দাবি করেন দিলীপ ঘোষ। অন্যদিকে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে গেরুয়া জার্সি দেখে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল , সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, হল্যান্ডের লোকরাও গেরুয়া পরে , তাই বললে কি হিন্দু রাষ্ট্র হয়ে গেছে! ভারতীয় টিমের যদি গেরুয়া জার্সি করে দেওয়া হয় তাহলে কি করবে তৃণমূল, প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। অন্যদিকে বহরমপুরের লোকসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে দিলীপবাবু বলেন, অধীর চৌধুরীর পার্টির লোকজন নেই, ফলে বহরমপুরের তৃণমূলের নেত্রী এসে দাঁড়াবেন সেটা ফাঁকা আওয়াজ ছাড়া আর কিছু নয়। এদিনের চেয়ে পে চর্চা কর্মসূচিতে জেলা বিজেপি সভাপতি শাখারভ সরকার, বিজেপি নেত্রী মাফুজা খাতুন সহ অন্যান্য নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন।
রাত পোহালেই ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন।
রাত পোহালেই ষষ্ঠ দফার লোকসভা নির্বাচন। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রে মোট প্রার্থীর সংখ্যা ১৩ জন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয়...