পঞ্চম দফার নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের প্রচার চলছে। অমিত শাহ ও জে পি নাড্ডা প্রচার করছেন আজও । *তৃণমূল কংগ্রেস এর দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায় ও বসিরহাটের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলামের মনোনয়নে চূড়ান্ত গলদ রয়েছে । আমাদের বিচারে যেটা আইন মেনে হয়নি । তাই আমাদের দলের প্রার্থীরা এই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের আবেদন জানাচ্ছে।
হাজী নুরুল ইসলাম মনোনয়ন দাখিল করেছেন 7 মে। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী সরকারের ঘরের যে তার কোনো বকেয়া নেই সেটা জানানোর কথা। 18 মে 2014 পর্যন্ত তিনি ছিলেন এমপি । তাই 2018 ,18 মে থেকে 18 ই মে 2024 এই দশ বছর পূর্ণ হলে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা করতে হয়না । তবে সেইদিন শেষের আগে 7 ই মে তিনি মনোনয়ন দাখিল করেছেন । সেখানে নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার কথা। কিন্তু তিনি জমা দেইনি। তাই আমাদের প্রার্থী রেখা পাত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে হাজী নুরুল ইসলাম এর মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানিয়েছে। হাজী নুরুল ইসলামের নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল 14 ই মে। কিন্তু শেষ দিন পর্যন্ত তিনি কোনো নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেননি । তাই বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র ও বঙ্গ বিজেপি হাজী নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানাচ্ছে।
দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী মালা রায় কলকাতা পুরসভার চেয়ার পার্সন রয়েছেন। পুরোনো আইন অনুযায়ী অফিস অফ প্রফিট কলকাতা পুরসভার অফিস । তাই তিনি সেখান থেকে পদত্যাগ না করে আইন লঙ্ঘন করে যদি তিনি মনোনয়ন জমা করে থাকেন তাহলে সেটিও আইন বিরুদ্ধ । তাই আমাদের প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী মালা রায় এর প্রার্থী পদ বাতিল এর দাবি জানাচ্ছেন। সংবিধান মতে অফিস অফ প্রফিট এর নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন মালা রায় সেটি নির্বাচন কমিশনের কাছে লুকিয়ে মনোনয়ন জমা করেছেন । সেটি বাতিলের আবেদন জানাচ্ছি ।
এই হাজী নুরুল ইসলামের মতো নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা না দেওয়ার জন্য আমাদের প্রার্থী দেবাশীষ ধর এর মনোনয়ন বাতিল হয়েছিল তাহলে এক্ষেত্রে কেনো হবে না। যদি নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে আমরা উচ্চ আদালতে যাবো দরকার পড়লে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাবো আমরা।