হিঙ্গলগঞ্জের কালিতলা এলাকায় শনিবার সন্ধ্যা বেলায় বিজেপির একটি পথসভা চলছিল। সেই সভায় বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র বক্তব্য শেষ করে নামার সঙ্গে সঙ্গেই ওই এলাকার অর্থাৎ কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা শ্যামল মন্ডল সহ বেশ কিছু তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই সভায় গিয়ে হামলা চালায়।ঘটনার পর খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনার স্থলে পৌঁছায় হেমনগর কোস্টাল থানার পুলিশ। কিন্তু পুলিশের সামনেই বিজেপির সভা মঞ্চে থাকা চেয়ার ছুড়ে ফেলে দেওয়ার পাশাপাশি বিজেপি কর্মীদের মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেন তিনি।
ঘটনার পর আতঙ্কিত রয়েছেন এলাকার বিজেপি কর্মীরা। গত কয়েকদিন আগে এই এলাকাতেই বিজেপির প্রচারের ট্যাবলো গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছিল এই তৃণমূল নেতা শ্যামল মন্ডলের বিরুদ্ধে। এক শেখ শাজাহান জেল বন্দী হলেও বিচ্ছিন্ন দীপ যুক্ত বসিরহাটের সুন্দরবন এলাকায় এইরকম শেখ শাহজাহানের প্রতিভুরা এলাকায় এলাকায় ছড়িয়ে রয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলার শ্যামল মন্ডল তাদের মধ্যে অন্যতম। পুলিশে ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে বসিরহাটের সন্দেশখালি ঘটনা এখনো আতঙ্কিত সন্দেশখালির সাধারণ মানুষ। তার মধ্যে হিঙ্গলগঞ্জের আজকের সন্ধ্যার ঘটনা আরো আতঙ্কিত করে তুললো হিঙ্গলগঞ্জের বাসিন্দাদের। শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দুর্দান্ত প্রতাপ নেতা শ্যামল মন্ডল। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে যার ভয়ে বাঘে গরুতে এক ঘাটে জল খায়। সেই জায়গায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন কি করে আশা করা যায়। বিরোধী দলের যারা নেতাকর্মী রয়েছেন তারাও অতিষ্ঠ শ্যামলের অত্যাচারে। এখন দেখা যাক রেখা পাত্রের উপরে হামলা ও বিজেপির সভা ভন্ডুলের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কি পদক্ষেপ নেন।