পূর্ব মেদিনীপুর : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর উস্কানিতে খুন হয়েছে। নন্দীগ্রামে বিজেপি নেতার মা’কে পিটিয়ে খুন। আর এই ঘটনায় এমনটাই মন্তব্য করলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী শনিবার তমলুক, কাঁথি সহ রাজ্যের একাধিক লোকসভা আসনে নির্বাচন রয়েছে। আর তার আগে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি।
তমলুক লোকসভা কেন্দ্রে অন্তর্গত নন্দীগ্রাম।খুনের ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে উত্তেজনা ছড়াল সোনাচুড়া মনসা বাজারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ব্যাপক লাঠিচার্জ। মোতায়ন করা হয়েছে র্যাফ। এমনকি পুলিশ পিকেটও বসানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, দেশের অন্য রাজ্যে ভোট হয়, কিন্তু বাংলার মতো হিংসা হয় না। হারবে জেনেই হিংসার পরিস্থিতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর উস্কানিতে খুন হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।
শুধু তাই নয়, বিরোধী দলনেতার কথায়, বুধবার তিনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) বলে গেছিলেন সোনাচুড়া, গোপালনগর সহ ৮০ টি বুথে অনেকে ধমকচ্ছেন। আমি তাঁদের সতর্ক করতে এসেছি। ফল ভালো হবে না। এরপরেই এই ঘটনা। এফআইআরে আমরা ওর নাম দেওয়া হবে বলেও মন্তব্য নন্দীগ্রামের বিধায়কের। শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারিও এন তিনি। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এমনকি বিজেপির আদি এবং নব্যদের মধ্যে লড়াই বলেও দাবি শাসকদলের। মানুষ এর জবাব দেবে বলেও দাবি তৃণমূলের।
অন্যদিকে, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও উত্তেজনা রয়েছে সোনাচুড়া মনসা বাজারে। সেখানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় একটি দোকানে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা একটি খড়ের গাদাতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে জানা যাচ্ছে। পাশাপাশি ভাংচুর করা হয় বেশ কয়েকটি দোকান। এরপরেই পুলিশ পরিস্থিতি সামলাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে।
কিন্তু থামতে রাজি নন! ঘটনায় দোষীকে গ্রেফতার না করলে আন্দোলনের তিব্রতা আরও বাড়বে বলে হুঁশিয়ারি বিজেপি কর্মীদের। উত্তেজিত বিজেপি কর্মী সর্মথকদের সামলাতে এই মুহুতে সোনাচুড়া বাজারে ব্যাপক ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে মোতায়েন করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে র্যাফও।