নদীয়া শান্তিপুর শহরের সুত্রাগড় অঞ্চল তো বটেই সমগ্র শান্তিপুর এমন কি দূর দূরান্তের বহু ভক্তবৃন্দদের কাছে শান্তিপুর সূত্রাগড় কেসি দাস রোডে অবস্থিত সিদ্ধেশ্বরী মা জাগ্রত সম্প্রতি নতুন মন্দিরও হয়েছে।
সেই মন্দিরের পূজারী এবং প্রতিষ্ঠাতা চ্যাটার্জি পরিবারের অন্যতম সদস্য মঙ্গল চ্যাটার্জির বাড়ি মন্দির সংলগ্ন । গত শুক্রবার মধ্যরাতে হঠাৎ কেউ একজন তার নাম ধরে ডাকতে থাকে দরজা খোলার সাথে সাথে তাকে বেধড়ক মারধর করতে থাকে দরজা বন্ধ করে দেওয়ার পর কাঠের দরজার পাল্লায় ধারালো রামদা দিয়ে বেশ কয়েকটা কোপ মারে । ঘরের মধ্যে থাকা স্ত্রী এবং দুই শিশু কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা জড়ো হওয়ার আগেই মোটরসাইকেলের প্রতীক্ষায় থাকা অন্য দুই দুষ্কৃতীদের সাথে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী। মঙ্গলবাবুর অভিযোগ অনুযায়ী প্রত্যেকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেখিয়েছে সেদিন।
পরের দিন অর্থাৎ শনিবার শান্তিপুর থানায় পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ জানানো হয় তবে দুষ্কৃতী এখনো পলাতক সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে পুলিশ প্রশাসন তৎপর রয়েছে ওই দুষ্কৃতীদের ধরতে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মঙ্গল বাবুর মা সত্তরউর্ধ্ব মাধবী চ্যাটার্জির চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ সেদিনের ঘটনা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না।
স্ত্রী শিল্পী চ্যাটার্জি জানাচ্ছেন, বহু পূর্বে তার স্বামী কাপড়ের ব্যবসা করতেন সেই সুবাদে অনেকের কাছেই টাকা পেতেন এমনই এক ব্যক্তিকে সে সময় টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য নানান অপমানজনক কথা বলেছিলেন সেই পুরনো শত্রুতার জেরেই হয়তো এই প্রতিশোধ। তবে সেদিন দরজা বন্ধ না করলে ঘরের মধ্যে আমি সহ দুই শিশু মনে হয় জীবিত থাকত না কারণ তাদের প্রত্যেকের হাতেই ছিল ধারালো অস্ত্র।
মঙ্গলবাবু অবশ্য এই তিন দুষ্কৃতীদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তিকে চিনতে পেরেছেন পাশের স্যাকরা গলিতে বসবাসকারী রাকেশ ব্যানার্জি। অপর দুজনকে চিনতে পারেনি তিনি যদিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য বিভিন্ন তথ্যভিত্তিক শান্তিপুর থানার পুলিশ ইতিমধ্যে জোর কদমে শুরু করেছে খোঁজ তল্লাশি।