কলকাতায় আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৩ । আজও তাপপ্রবাহের কবলে পড়ল কলকাতা। অর্থাৎ চলতি এপ্রিলে এই নিয়ে চতুর্থ দফা তাপ্রবাহের স্পেল চলল বঙ্গে। যা অতীতে এপ্রিল মাসে কোনোদিন ঘটেনি। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এপ্রিলে সর্বাধিক ৩ স্পেল তাপপ্রবাহ চলছে। ২০২৪ সালের আজকের তারিখ ধরে এপ্রিলে মোট ৯ দিনের তাপপ্রবাহ। ২০০৯ সালে এপ্রিলে ২ টি তাপপ্রবাহ স্পেল ছিল। ৪ দিন করে মোট ৮ দিন। ২০২৪ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দিল এপ্রিলের তাপপ্রবাহ।
পরিস্থিতির কোনো বদল এই মুহূর্তে নয়। প্রচণ্ড উষ্ণ পশ্চিমের হাওয়া অবাধে দাপট দেখাচ্ছে বাংলায়। প্রতিদিন সন্ধ্যার পর বঙ্গোপসাগরের জলীয় বাষ্প পুর্ন হাওয়া ঢুকছে। কিন্তু তা বেশ দুর্বল। কাল থেকে ৪ মে রাজ্যে কোনরকম বৃষ্টি নেই। তবে আগামী ৫ দিনে তাপমাত্রার আর তেমন কোনো উল্লেখ্যযোগ্য হাইজাম্প নেই। অর্থাৎ তাপপ্রবাহ থাকবে। কিন্তু আর তাপমাত্রা বাড়বে না। কমবে না। ৩০ এপ্রিল দার্জিলিং কালিম্পং জলপাইগুড়িতে বৃষ্টি। পরের দিন ১ জুন এই বৃষ্টির তালিকায় যোগ হবে কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার। তবে এই বৃষ্টি বিক্ষিপ্ত। গোটা জেলা জুড়ে নয়। খুব বেশিক্ষন বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। সঙ্গে বজ্র বিদ্যুৎ এবং দমকা হাওয়া।
পূর্ব পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান এবং বাঁকুড়া জেলায় তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা। পশ্চিমাঞ্চলের বাকি সব জেলায় মডারেট তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলায় মডারেট তাপপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা থাকবে। আজ পুরুলিয়া বাঁকুড়া ঝাড়গ্রাম এবং দুই মেদিনীপুর জেলায় সন্ধ্যার পর হালকা বৃষ্টি। প্রভাব পড়বে না তাপপ্রবাহের মাত্রায়।
গাঙ্গেয় দক্ষিণবঙ্গ আপাতত মুক্তি পাচ্ছো না তাপপ্রবাহ থেকে। আগামী ৫ দিন সব জেলায় মডারেট তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা।
উত্তরে আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারে তাপপ্রবাহের অনুরূপ পরিস্থিতি হলেও আপাতত খাতায় কলমে তাপপ্রবাহ নেই। দুই দিনাজপুর এবং মালদা জেলায় আগামী ৫ দিন তাপপ্রবাহ।
*৫ মে থেকে বৃষ্টি পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গ। প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে গাঙ্গেয় দক্ষিণে। কমবে লু এর দাপট। উত্তর গোলার্ধে তৈরি হওয়া অক্ষরেখা ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে দক্ষিণ দিকে আসবে। অত্যন্ত বেশি সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বৃষ্টির। বড় আপডেট দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।*