শ্রমিক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য তদন্তে পুলিশ
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার, বসিরহাট মহকুমার, হাড়োয়া থানার, মোহনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের, মল্লিকঘেরি গ্রামের ঘটনা। পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিনের মতো গতকাল রাতেও, খাওয়া-দাওয়া সেরে, রাতে ঘুমাতে গিয়েছিলেন ২১ বছরের কমলেশ পরামানিক। আজ ভোররাতে যুবকের ঠাকুমা হঠাৎই কান্নাকাটি শুরু করেন। পরিবারের সদস্যরা ঠাকুমাকে জিজ্ঞাস করতেই জানতে পারেন। জবাব গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে হাড়োয়া থানায় খবর দেওয়া হয়। হাড়োয়া থানার পুলিশ গিয়ে। ২১ বছরের কমলেশ পরামানিককে উদ্ধার করে হাড়োয়া গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ইতিমধ্যে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। তবে পুলিশ জানাচ্ছেন ময়নাতদন্তে রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে মৃত্যুর আসল রহস্য।পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন যুবকের বিবাহ হয়নি। আনুমানিক পাঁচ বছর আগে যুবকের বাবা মা পরলোক গমন করেছেন। যুবক তার কাকার কাছেই থাকতেন। আর বিভিন্ন জায়গায় শ্রমিকের কাজ করতেন। গতকাল রাতে ছন্দপতন যুবকের অর্থাৎ যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। যুবকের অকাল মৃত্যুতে পরিবারের পাশাপাশি এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে কি কারণে ওই যুবক আত্মহত্যা করলেন। মা-বাবা না থাকার কারণে শোকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করলেন? নাকি প্রেম ঘটিত কোন ব্যাপার ছিল? সমস্তটাই নজরে রেখেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ প্রশাসন।
বাইট সুশান্ত পরামানিক (মৃত যুবকের কাকা)