দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের ঐতিহাসিক রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কোনও চাকরির বৈধতা নয়,জানিয়ে দিল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে ২৩ হাজার ৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করা হয়েছে। আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে নিজ নিজ জেলার সরকারী ট্রেজারী ব্যাঙ্কে সম্পূর্ণ ফেরত দিতে হবে।
চাকরীর শুরু থেকে এযাবৎ কালের পাওয়া পাই পাই বেতনের পুরো টাকাও, নির্দেশ হাইকোর্টের। এই রায়ের প্রতিলিপি আজই দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রীম কোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য এর আগে রাজ্য সরকার এই মামলার কলকাতা হাইকোর্টের পূর্ববর্তী রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। পরে সুপ্রীম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে মামলা ফের বিচার শুরু হয় কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে। সুতরাং রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রীম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পথও বন্ধ হয়ে গেল। আজ সুপ্রীম কোর্টের নির্দেশে একসঙ্গে ৩৫০টি মামলার রায় ঘোষণা করল বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। সকাল সাড়ে ১০ টায় ২৮১ পৃষ্ঠার রায় পড়েন বিচারপতি বসাক। গত তিন মাস ধরে গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি, নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সব মামলা বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রসিদির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি চলেছে। বিচারপতিদের ডিভিশন বেঞ্চ এও জানিয়ে দেন, দুর্নীতির ব্যাপারে সিবিআই তাদের তদন্ত চালিয়ে যেতে পারবে। স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং শিক্ষা দফতরের যে সব সরকারী আমলা,কর্মীরা এবং রাজনৈতিক নেতা,মন্ত্রীরা এই নিয়োগ কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, অর্থাৎ যাঁরা প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও রাজনৈতিক নেতা ও মন্ত্রীদের সুপারিশে বা নির্দেশে যে সরকারী আধিকারিকরা নিয়োগ প্রক্রিয়া চালিয়েছিলেন, সিবিআই চাইলে তাঁদের তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিতে পারবে।সেক্ষেত্রে আদালতের আলদা করে কোনো অনুমতি নিতে হবে না।