মালদা:-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়ার রহস্য মৃত্যু। বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। বিশ্ববিদ্যালয় রেগিং এর শিকার ওই পড়ুয়া! জার জেরে মানসিক অবসাদ আর সেখান থেকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন। যদিও অভিযোগ না হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কিভাবে এবং কেন ওই ছাত্রের মৃত্যু হল পুরো বিষয়টাই তদন্ত করে দেখছেন গাজোল থানার পুলিশ আধিকারিকেরা। ঘটনা কে ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনা মালদা জেলার গাজোল থানার অন্তর্গত কচুয়া এলাকার। জানা যাচ্ছে মৃত ওই পড়ুয়ার নাম উত্তম মার্ডি। বয়স ২২। সে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া। ওই পড়ুয়ার মৃত্যুর নেপথ্যে র্ রাগিং আশঙ্কা পরিবারের। যদিও পুরো ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ জানায়নি মৃত পড়ুয়ার পরিবার। অভিযোগ পেলে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস পুলিশের।
পরিবার পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে গাজোলের কচুয়া এলাকায় জেঠুর বাড়িতেই থাকতো ওই পড়ুয়া। পড়াশোনায় ছিল অত্যন্ত মেধাবী। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি করানো হয় উত্তমকে। চলতি মাসের ৩ তারিখ তাকে ওই হোস্টেলে রেখে ফিরে আসে তার পরিবার। কিন্তু হোস্টেলে থাকার তিন দিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসে ওই পড়ুয়া। পরিবারের লোককে জানায় সে আর ওই হোস্টেলে ফিরে যাবে না। যার কারণ হিসেবে তার পরিবারকে তেমনভাবে কিছুই জানায়নি উত্তম। তবে তার পরিবারের দাবি সেখান থেকে ফিরে আসার পরেই মানসিক অবসাদে ভুক্তভোগী ছিল সে। পরিবারের লোকেদের হোস্টেলের বিষয়ে তেমনভাবে না জানালেও কিছু কথা জানিয়েছিল উত্তম। চলতি মাসের ৬ তারিখ মালদায় ফিরে আসে সে। কিন্তু সে সেখানে আর ফিরতে না চাওয়ায় বিকল্প হিসেবে মালদা কলেজে ভর্তি করানোর কথা ছিল উত্তমকে। আজ মালদা কলেজে ভর্তি হওয়ার কথা থাকলেও সকালেই বাথরুম থেকে উদ্ধার হয় ওই পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। ঘটনায় শোকের ছায়া পরিবারসহ এলাকা জুড়ে। ওই পড়ুয়া এইভাবে শেষ সিদ্ধান্ত নিতে পারে এমনটা ভাবতে পারেননি তার পরিবারের কেউ।