নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া : বিষ্ণুপুর পৌরসভায় দেওয়াল চাপা পড়ে আহত ১, ভাঙ্গাচোরা মাটির দেওয়ালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট শিশুদের নিয়ে বসবাস একাধিক পরিবারের, কয়েকটি পরিবার প্রতিবেশীর ঘরেই রাত্রি যাপন করেন, “আমরা মরে গেলে প্রশাসন দেখতে আসবে” আর্তনাদ অসহায়দের।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের হাড়িপাড়া, এই এলাকার ২০ থেকে ২৫ টি বাড়ি একেবারেই ভগ্ন প্রায়, বাড়িতে বড় বড় ফাটল বিছানায় শুয়ে আকাশ দেখা যায়। বর্ষায় বৃষ্টি পড়ে ঘরের ভেতর জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কারো তিন মাসের শিশু কারো তিন বছরের শিশু কারো পাঁচ বছরের শিশু নিয়ে বসবাস করছে বাসিন্দারা, এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ির এতটাই ভগ্না দশা তারা বাড়িতে রাত্রিযাপন করতেও ভয় পান অগত্যার গতি প্রতিবেশীর ঘরেই রাত কাটাতে হয় বেশ কয়েকটি পরিবারের। গতকাল সন্ধ্যায় রেনুকা সাঁতরা নামের এক মহিলা বাড়িতে ছেলে ও মেয়েকে নিয়ে চা করছিল আচমকাই তাদের বাড়ির মাটির দেয়াল ভেঙে চাপা পড়ে রেনুকা সাতরা কোনক্রমে ছেলেমেয়ে বেঁচে গেলেও গুরুতরভাবে জখম হন ওই মহিলা, ছেলেমেয়েদের চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে যায় সেখানে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি নার্সিং হবে, বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন ওই মহিলা। আহত মহিলার কন্যা জানান বাড়ি ভেঙে গিয়েছে এখন হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছি এরপর কোথায় থাকবো তা জানা নেই ।
এলাকার মানুষের দাবি পৌরসভায় ঘরের জন্য বারংবার দরখাস্ত দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি, এই পরিস্থিতিতে চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে রাত্রি যাপন করতে হয় হাড়ি পাড়ার মানুষদের।
স্থানীয় বিজেপি কাউন্সিলর এর দাবি আগের যিনি কাউন্সিলর ছিলেন তিনি তার ঘনিষ্ঠ লোকেদের বাড়ি পাইয়ে দিয়েছেন যারা বাড়ি পাবার যোগ্য তাদের দেয়নি, এমনকি বর্তমানে সরকারি বাড়ির বিষয়ে তাদের অন্ধকারে রেখেই যাবতীয় কাজ করছে চেয়ারম্যান।
বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন দেয়াল চাপা পড়ে আহত এর ঘটনা শোনার পরেই তড়িঘড়ি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে, তিনি আরো বলেন ওই এলাকায় বিজেপি কাউন্সিলর কেন্দ্রীয় বিজেপি সরকার বাড়ির টাকা আটকে রেখেছে তাই এলাকায় বাড়ি করে দেওয়া সম্ভব হয়নি, এমনকি কাউন্সিলর যে অভিযোগ করছে সেটা মিথ্যা।
সমগ্র ঘটনা নিয়ে শাসকদলকে তুলনা করেছেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির মুখপাত্র দেবপ্রিয় বিশ্বাস এটা শুধু হাড়িপাড়া নয় গোটা পৌরসভার একই চিত্র এখনো পর্যন্ত কেউ এসে এই মানুষগুলির খবর নেয়নি এখানে যদি মানুষ মারা যেত তখন রাজনীতি করতে নেতা-মন্ত্রী আমলা সবাই ছুটে আসত।
Jibon jantrona…