বিএসএফ একটি বড় সোনা চোরাচালান অভিযান ব্যর্থ করেছে এবং ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১০.২৩ কোটি টাকা মূল্যের ১৬.৭ কেজি সোনা সহ একজন পাচারকারীকে ধরেছে।০৪ নভেম্বর, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীনে ৬৮ ব্যাটালিয়ন, সীমা চৌকি রানঘাটের সতর্ক জোয়ানরা একটি বিশাল সাফল্য অর্জন করেছে। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, জোয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে ১৭ টি সোনার বারসহ এক চোরাকারবারীকে ধরেছে।
জব্দ করা সোনার ওজন আনুমানিক ১৬.৭ কেজি এবং এর আনুমানিক মূল্য ১০.২৩ কোটি টাকা। চোরাকারবারি এসব সোনার বার বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল।তথ্য অনুযায়ী, সীমা চৌকি রানঘাট, ৬৮ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সুনির্দিষ্ট খবর পেয়েছিল যে তাদের এলাকায় সোনার বিশাল চোরাচালান ঘটতে চলেছে। খবর পাওয়ার সাথে সাথে কমান্ডারের নেতৃত্বে জোয়ানদের দুটি দল সন্দেহজনক এলাকার রাস্তার পাশে অ্যাম্বুশ স্থাপন করে। প্রায় ১১০০ টার সময় জোয়ানরা একটি সন্দেহজনক বাইক আরোহীকে আসতে দেখে। বাইক আরোহী কাছে এলে জোয়ানরা তাকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় লোকটি নার্ভাস হয়ে পড়লে জোয়ানরা বাইক এবং লোকটিকে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করে। তল্লাশিকালে ওই ব্যক্তির কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্টের ভিতর থেকে ১৭টি সোনার বার পাওয়া যায়। জোয়ানরা সোনা বাজেয়াপ্ত করে এবং বাইক চালককে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত পাচারকারীর পরিচয় আজর মন্ডল, (বয়স ২৭ বছর), পিতা সিরাজুল মন্ডল, গ্রাম রাজকোল, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা বলে জানা যায়।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারী জানায় সে একজন দরিদ্র মানুষ এবং ফুল চাষ করে এবং গত ছয় মাস ধরে সে সীমান্ত পাচারের সাথে জড়িত। সে আরও বলে যে সে বাংলাদেশের মাটিলা গ্রামের বাসিন্দা আলম মন্ডলের কাছ থেকে এই জিনিসগুলি নিয়েছিল এবং ওই সোনার বার বনগাঁর এক তস্কর হস্তান্তর করতে যাচ্ছিল। কিন্তু পথে তল্লাশির সময় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর জোয়ানরা সোনা সহ তাকে আটক করে।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী এবং জব্দকৃত সোনা পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কলকাতার শুল্ক দপ্তরে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জ্ঞাতব্য যে, সেপ্টেম্বর মাসেও রানঘাট সীমান্ত চৌকির জোয়ানরা ২৩ কেজি সোনার একটি বিশাল চালান আটক করেছিল এবং একজন পাচারকারীকেও গ্রেপ্তার করেছিল। এই বৎসর দক্ষিণ বেঙ্গল সীমান্তের জোয়ানরা এখনো পর্যন্ত ১৫০ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করেছে।
শ্রী এ কে আর্য, ডিআইজি, জনসংযোগ আধিকারিক, সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, বিএসএফ জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, কুখ্যাত চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প পরিমাণ অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে। কুখ্যাত চোরাকারবারিদের দল সরাসরি চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িত না হয়ে, তারা দরিদ্র মানুষকে টার্গেট করে। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের কাছে আবেদন করেন যে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো তথ্য তাদের নজরে এলে তারা বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ জানাতে পারেন। এছাড়াও সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কার দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।