নদিয়ায় নাবালিকার রহস্যমৃত্যু নিয়ে বিজেপির বগুলা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও কর্মসূচি, উপস্থিত রানাঘাটের বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার এবং রানাঘাট উত্তর-পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক অসীম বিশ্বাস সহ একাধিক বিজেপি কার্যকর্তারা।
নাবালিকা আত্মহত্যা করেনি, তাকে চক্রান্ত করে খুন করা হয়েছে। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে এবার বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, সাথে ছিলেন শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক। উল্লেখ্য গতকাল নদীয়ার হাঁসখালি থানার বগুলা সংলগ্ন রেললাইনের ধার থেকে অর্ধনগ্ন এক নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয়। রেল পুলিশ এবং নদীয়ার রানাঘাট পুলিশ জেলার তরফে জানানো হয় ওই নাবালিকা নিজে থেকেই আত্মহত্যা করেছে। যদিও বিষয়টি মানতে নারাজ পরিবার, তাদের দাবি, মা বাবা হারা ১৭ বছর বয়সী কিশোরী দিদির কাছেই মানুষ, গত পরশুদিন বান্ধবীর বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল, রাতে যখন ফোনে যোগাযোগ হয় সে জানিয়েছিল কারণবশত বাড়িতে ফিরতে পারবে না, অর্থাৎ বান্ধবীর বাড়িতে তাকে রাত্রি বাস করতে হবে। পরিবার নিশ্চিন্তে ছিলেন, কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ফোন করতেই ফোনটি ধরে পুলিশ, আর সেখানেই পরিবারকে জানানো হয় তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে ছুটে আসে পরিবার, এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় একাধিক অভিযোগ তুলে ধরেন। তাদের দাবি, যে পোশাক ওই নাবালিকার গায়ে ছিল তা কখনোই সে ব্যবহার করত না, সে কোথা থেকে পেল এই ধরনের পোশাক। তাদের সেখানেই সন্দেহ তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির তরফ থেকে শুরু হয় প্রতিবাদ। শুক্রবার দুপুরে নদীয়ার বগুলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসে বিজেপি, উপস্থিত ছিলেন বিজেপি সাংসদ সহ,কর্মী সমর্থকরা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সাংসদের দাবি, মা হিন পিতৃহীন একজন নাবালিকা কিভাবে আত্মহত্যা করতে পারে, এর পেছনে বড়সড় চক্রান্ত রয়েছে। বিজেপির দাবি ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং তাকে রেল লাইনে ফেলে দেওয়া হয়েছে। যদিও গতকালই নাবালিকার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সবটাই জানিয়ে দিয়েছিলেন রানাঘাট পুলিশ জেলা, যদিও ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনো পর্যন্ত সামনে আসেনি পুলিশের হাতে। রিপোর্ট আসলে তবেই মৃত্যুর ঘটনার উদঘাটন হওয়া সম্ভব। যদিও এখনো তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে, রানাঘাট পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা।