নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া : গত শনিবার থেকে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলা সহ বাঁকুড়া জেলাতে নিম্নচাপের ভ্রুকুটি চোখের জল ঝরিয়েছিল মৃৎশিল্পীদের।
বাপ ঠাকুরদাদার আমল থেকে বছরভর বিভিন্ন পুজোতে মূর্তি তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে বাঁকুড়া দু’নম্বর ব্লকের শুশনিডাঙার এই মৃৎ শিল্পীরা। এই বছরও সারা জেলার বিভিন্ন দূর্গা মন্ডপ থেকে প্রতিমার তৈরির বরাত মিলেছে তাদের। কিন্তু টানা চার-পাঁচ দিনব্যাপী আকাশে কালো মেঘ আর অঝোর বৃষ্টিপাত যেন তাদের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। কিভাবে প্রতিমার তৈরির বরাত সরবরাহ করবে তা নিয়ে রীতিমতো কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গিয়েছিল শিল্পীদের। হয়তো ক্ষণিকের জন্য হলেও তারা ভেবেই ফেলেছিল এই বছর আর পারা যাবে না।কিন্তু না কথায় আছে না ‘মেঘের আড়ালেই সূর্য্য হাসে’ সেই কথায় ফের আরেকবার প্রমাণিত হলো। নিম্নচাপের কালোছায়া কেটে গতকাল থেকে সূর্য্যি মামার দেখা মিলেছে৷ তাই ফের আরেকবার ছন্দে ফিরে যেতে দেখা গেল বাঁকুড়ার ছোট্ট এই কুমোরটুলিকে। তবে এইবার আর যে সে ব্যস্ততা নয় নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিনরাত এক করে এই মৃৎ শিল্পীরা যেন তাদের বরাতকে যোগান দিতে ব্যাস্ত।
পিন্টু দাস নামে এক শিল্পী জানান, ‘এখনো পর্যন্ত তাদের চিন্তা সম্পূর্ণভাবে কেটে যায়নি, রোদ দিয়েছে প্রতিমার মাটি শুকোচ্ছে, তাদের জানা নেই মন্ডপে মা মৃন্ময়ীকে পৌঁছানোর পরেও শেষ তুলির টান দিতে হয় কিনা’।
সবে মিলে আর দু-সপ্তাহের অপেক্ষা, তারপরই মায়ের আগমন ঘটবে প্রত্যেকটা মণ্ডপে মন্ডপে।তার আগে মায়ের প্রতিকৃতি দাতাদের এই ধরনের দুশ্চিন্তা সত্যিই যেন চিন্তার বিষয়।এতকিছুর পরেও তারা যেন আশাবাদী সবকিছু ঠিকঠাক হবে,মুখ রক্ষা হবে তাদের বাপ ঠাকুরদাদাদের।