নিজস্ব প্রতিনিধি , বাঁকুড়া : স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রোগী ভর্তি, নার্সিংহোমের দাবী মতো বাড়তি টাকা দিতে না পারায় অপারেশান মাঝপথে থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ।
স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে রোগী ভর্তি করেছিল নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। ওই কার্ডেই অস্ত্রোপচারের কথা ছিল। কিন্তু অপারেশান টেবিলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবী মতো রোগীর পরিজনেরা ২০ হাজার টাকা দিতে না পারায় মাঝপথে থামিয়ে দেওয়া হল অস্ত্রোপচার। অত্যন্ত অমানবিক এই অভিযোগ সামনে এসেছে বাঁকুড়া শহরের গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। ঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হয়েছে রোগীর পরিজনেরা।
জানা গেছে পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা শেখ আলমগির বেশ কিছুদিন ধরে শারিরিক সমস্যায় ভূগছিলেন। সম্প্রতি পরীক্ষা নিরিক্ষা করে জানতে পারেন তাঁর গলব্লাডারে স্টোন রয়েছে। চিকিৎসকরা গলব্লাডারের স্টোন অস্ত্রোপচার করে বের করে দেওয়ার পরামর্শ দেন রোগীর পরিজনদের। খোঁজ খবর নিয়ে সোমবার বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর এলাকার একটি বেসরকারী নার্সিংহোমে রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি করেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার অস্ত্রোপচার করার কথা। রোগী স্বাস্থ্য সাথী কার্ডে ভর্তি হওয়ায় রোগীর কাছ থেকে বাড়তি টাকা নেওয়ার কথা নয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিযোগ মঙ্গলবার রোগীকে অপারেশান টেবিলে তুলে অজ্ঞান করে ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার শুরু করার পর পরিবারের লোকজনের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ। নার্সিংহোমের দাবীমতো রোগীর পরিজনেরা সেই টাকা দিতে না পারায় অভিযোগ অস্ত্রোপচার মাঝপথে থামিয়ে রোগীকে অপারেশান টেবিল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। অত্যন্ত অমানবিক এই ঘটনার পর নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়ে বাঁকুড়া সদর থানার দ্বারস্থ হন রোগীর পরিজনেরা। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ অবশ্য রোগীর পরিজনদের তরফে তোলা বাড়তি টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবী ল্যাপারোস্কোপি পদ্ধতিতে অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে চিকিৎসক দেখেন ওই অস্ত্রোপচারে জটিলতা রয়েছে। এই অবস্থায় অস্ত্রোপচার করতে গেলে রোগীর জীবনের ঝুঁকি থেকে যায়। সেকারনেই মাঝপথে অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হয়েছে। এর সাথে টাকা দেওয়া বা না দেওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই।