রাত পেরোলেই আগামীকাল কৌশিকী অমাবস্যা। আর এই কৌশিকী অমাবস্যায় বীরভূমের তারাপীঠে কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে। দূর দূরান্ত থেকে সাধু সন্তরা এসে এই কৌশিকি অমাবস্যায় তারাপীঠের হোম যজ্ঞ করে থাকেন।
কোনরকম যাতে কোন বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি না হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে করা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এই কৌশিকই অমাবস্যায় তারাপীঠে কয়েক লক্ষ ভক্তের সমাগম ঘটে তাই প্রশাসনের তরফ থেকে করা নজরদারি ও নিরাপত্তার এবং কোনো রকম যাতে কোনো প্রকার যানজট সৃষ্টি না হয় তার জন্য আজ তারাপীঠে প্রেসমিট করলেন বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এই আমাবস্যার দিন যাতে কোনো অটো বা কোনো গাড়ির ভাড়া বেশি না নেই সেটা নিয়েও জানান তিনি।
আসন্ন কৌশিকী অমাবস্যায় আঁটোসাটো নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা তারাপীঠ।তারাপীঠে,অতিরিক্ত ২০০ সিসি ক্যামেরা,মহিলা তীর্থযাত্রীদের জন্য থাকবে উইমেন্স টিম। আগের দিন বিকেলে থেকেই অটো ও ট্রেকার বাদে অন্যান্য যানবাহন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।গতবছর কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে আগের দিন সকাল ৮টা থেকেই পুণ্যার্থীদের প্রাইভেট গাড়ি তারাপীঠে প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ।যার জেরে এবার যাত্রী সমাগমে ভাটা পড়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন হোটেল মালিকরস এবছর আগামী সোমবার ভোর ৫টা নাগাদ কৌশিকী অমাবস্যা তিথি শুরু হবে।থাকবে পরের দিন সকাল ৬টা ২৯মিনিট পর্যন্ত।এবার অবশ্য পুলিশ অনেক আগেই থেকে হোটেল মালিকদের সঙ্গে মিটিং করে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, আগের দিন বিকেল ৪টের পর পুণ্যার্থীদের প্রাইভেট গাড়ি প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সেখান থেকে অটো বা ট্রেকারে চেপে যাতায়াত করতে পারবেন পুণ্যার্থীরা।সেই সঙ্গে যে সমস্ত প্রাইভেট গাড়ি নির্দিষ্ট সময়ের আগে তারাপীঠে প্রবেশ করবে, সেই গাড়িগুলি হোটেলের নির্দিষ্ট পার্কিংয়ে রাখতে হবে।রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করানো থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
ভিনজেলার পুলিস মিলিয়ে ১৮০০ ফোর্স মোতায়েন থাকবে।যা গতবারের থেকে বেশি।থাকবে অ্যান্টি ক্রাইম টিম।বিভিন্ন রাস্তা মিলিয়ে ২৭টি ড্রপ গেট করা হয়েছে।এবার কৌশিকী তিথি উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত আরও ২০০টি সিসি ক্যামেরা ও ন’টি ওয়াচ টাওয়ার এবং একাধিক ড্রোন ক্যামেরা উড়িয়ে গোটা তারাপীঠে নজরদারি চালানো হবে।যারা স্কুটি চালিয়ে তারাপীঠ চক্কর দেবে।এবার ভীড়ের মধ্যে চুরি রুখতে পর্যটকদের ভিড়ে মিশে থাকবে সাদা পোশাকের পুলিস।থাকবে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা।