আগামী ২০ মে হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। তার আগেই বন্ধ হয়ে গেল মধ্য হাওড়া বিধানসভার অন্তর্গত হাওড়া জুট মিল। ফলে কর্মহীন হয়ে পড়ল প্রায় সাড়ে তিন হাজার কর্মী। শ্রমিকদের অভিযোগ মিলের বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মীদের দৈনিক মজুরি থেকে গত কয়েকদিনের এক ঘন্টার মজুরি কাটা হয়েছে। এর পাশাপাশি দোলের দিনের মজুরি পাওয়ার কথা থাকলেও সেটাও তাদের দেওয়া হয়নি। এর ফলে ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা কম বেতন পেয়েছেন। এই নিয়েই ওই ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গতকাল থেকে তারা পাওনা টাকার দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন।
ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে ওই বিভাগের কর্মীদের কাজে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা তা মানতে চাননি। এরই প্রেক্ষিতে ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে একটি নতুন নির্দেশ জারি করা হয়। মঙ্গলবার সকালে কর্মচারীরা কাজে যোগদান করতে এসে দেখেন মিলের গেটে নোটিশ ঝুলছে। ওই নোটিসে বলা হয় যতক্ষণ না পর্যন্ত বিমিং ডিপার্টমেন্টের কর্মচারীরা কাজে যোগ দিচ্ছেন ততক্ষণ ব্যাচিং, ওয়েভিং সহ অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের শ্রমিকদের কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। এদিকে বিমিং ডিপার্টমেন্টে কর্মচারীদের পাওনা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান অন্য বিভাগের কর্মচারীরা। ফলে মিলের মধ্যে শুরু হয় অচলাবস্থা। এরই প্রেক্ষিতে আজ কর্মচারীরা মিলে এলেও কোন উৎপাদন হয়নি।শ্রমিকদের আরো অভিযোগ ওই মিলে অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পাওনা পিএফ এর টাকা নিয়ে টালবাহানা চলছে। এছাড়াও ইএসআই এর টাকা তারা পাচ্ছেন না।
সামনে ঈদ। তার আগে মিলে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন শ্রমিকরা। তারা চাইছেন দ্রুত মিলটিতে কাজ শুরু হোক।মিল কর্তৃপক্ষ কোনো সাক্ষাৎকারে দিতে চায়নি।তবে জানিয়েছে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।সবপক্ষের সাথে আলোচনা চলছে।তারা চাইছে আগে কাজে যোগ দিক শ্রমিকরা।