স্বামীর অনুপস্থিতিতে বৌমার উপর কু-নজর ছিল শশুড়ের, বৌমা প্রতিবাদ করাতে খুনের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের মৃতার বাবার, পলাতক শশুড় ও শাশুড়ি
মালদা;তনুজ জৈন;০৯নভেম্বর: এক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ শশুরের বিরুদ্ধে।এমন কি ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে শাশুড়ি বলেও অভিযোগ। থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের। ভিন রাজ্যে কাজ করত স্বামী। আর স্বামীর অনুপস্থিতিতেই বৌমার উপর কু নজর ছিল শশুড়ের।ওই গৃহবধূ সেটা বুঝতে পেরে তার বাবার বাড়ির লোককে জানায়।তার বাবার বাড়ির লোকেরা গৃহবধুর স্বামীকেও এই নিয়ে অবগত করে।মৃতা গৃহবধূর বাবার সন্দেহ সেই রাগের জেরেই গতকাল রাতে তার শশুর খুন করে।মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।পলাতক অভিযুক্ত শশুড় ও শাশুড়ি।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার দক্ষিণ তালগ্রাম এলাকার ঘটনা।মৃতার পরিবার সূত্রে জানা গেছে দেড় বছর আগে ওই গ্রামের বাসিন্দা মহিদুল হকের সঙ্গে তাদের মেয়ে আদুরি খাতুনের বিয়ে হয়। কিন্তু মৃতার স্বামী ভিন রাজ্যে কর্মরত।শ্বশুর বাড়িতে শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে থাকতো আদুরি।স্বামীর অনুপস্থিতিতে তার শ্বশুর মান্নান কুনজরে দেখতো ওই গৃহবধূকে।দেওয়া হতো বিভিন্ন প্রস্তাব।এমনকি মৃতার শাশুড়ি এই নিয়ে বুঝতে পারলেও কোন প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু কিছুদিন আগে ওই গৃহবধূ শশুরের আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে তার বাবার বাড়ির লোককে সমস্ত ঘটনা জানায়। বাবার বাড়ির লোকেরা গৃহবধূর স্বামীকেও বিষয়টি নিয়ে বলে।সেই সময় তার স্বামী বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেয়।মৃতার বাবার বাড়ির লোকের সন্দেহ তাদের মেয়ে প্রতিবাদ করেছিল বলেই সেই রাগে তার শ্বশুর গতকাল রাতে আদুরিকে খুন করেছে।গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকেরা বিষয়টি যখন জানতে পারে তারা এসে দেখে শ্বশুরবাড়ির ঘরে একটি খাটের মধ্যে পড়ে রয়েছে আদুরির মৃত দেহ। শশুর এবং শাশুড়ি দুজনেই পলাতক। তারপরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় শ্বশুড় এবং শাশুড়ির নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মৃতার বাবা। মৃতদেহ উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। সমগ্র ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত। অভিযুক্তদের খোঁজে চলছে তল্লাশী।